কেকের ম্যানেজার রীতেশ ভাট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে কেকের শারীরিক তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। নজরুল মঞ্চ থেকে হোটেলে ফিরলে লবিতে কেকের ভক্তরা তার সাথে ছবি তুলতে চায়। তখন কেকে তাদের উদ্দেশে বলেন, "শরীরটা ভালো লাগছে না"। এরপরে তারা রুমে চলে যান।
হোটেল রুমে ঢুকে কেকে সোফায় বসে বমি করেন। এরপরে সেখানেই তিনি মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীর প্রচন্ড ভারী হয়ে যাওয়ায় রীতেশ একা তাকে উঠাতে পারছিলেন না তাই তিনি হোটেলকর্মীদের সাহায্যে তাকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান। এরপরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইতোমধ্যে তার প্রয়াণে কলকাতার নিউমার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এইদিন (বুধবার) পুলিশ হিতেশ ভাটসহ হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া নজরুল মঞ্চে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হাসপাতালে নেওয়ার পরে কেকের মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিলো বলে শোনা যায়। সেটি নিয়েই অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জেগেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, "কেকের মুখে কিছুটা কেটে যাওয়ার দাগ আছে, যা সম্ভবত কেকে পড়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে। তার কপালে এবং ঠোঁটে চোট আছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেইরকম কিছু হয়নি ও রক্তপাতও হয়নি"।
প্রসঙ্গত, নব্বই দশক থেকে শুরু করে বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় বহু জনপ্রিয় গানে কেকে কণ্ঠ দিয়েছেন। কলকাতা তার জীবনের শেষ গানের স্মৃতি হয়ে রইলো।
সূত্র - হিন্দুস্তান টাইমস
إرسال تعليق