Ads:


বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ের ভারসোভার মুক্তিধাম শ্মশানে কেকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

তবে, কলকাতার অনুষ্ঠানে যারা কেকের সাথে সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন তারাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেন। প্রয়াত কেকে যে হোটেলে উঠেছিলেন পুলিশ সেই হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেন। তাছাড়াও নজরুল মঞ্চে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তবে কেকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক কোনো কারণে কেকের মৃত্যু হয়নি। কেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন।

কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত কেকের দেহের ময়নাতদন্তের পরে প্রাথমিক রিপোর্টে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছিলো। তবে ৭২ ঘণ্টা পরে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়।

সেই রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, হার্টের ব্লকেজের কারণে কেকের মৃত্যু হয়েছে। কেকের হৃদযন্ত্রের বাঁ-দিকের ধমনিতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিলো। নাচ-গান করতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় কেকের হার্টের ব্লকেজ বেড়ে যায়। এতে আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ায় কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। যার ফলে চিকিৎসা শুরুর আগেই কেকের জীবন জীবনপ্রদীপ নিভে যায়।

কলকাতায় কনসার্ট করতে আসার আগে থেকেই কেকে অসুস্থ ছিলেন। তবে কনসার্টের জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর সেটি বাতিল করেননি।

কেকে নিজের অসুস্থতার কথা কলকাতার কনসার্ট আয়োজকদের জানাননি। এমনকি কেকের ম্যানেজার রিতেশ ভাটও বিষয়টি জানতেন না।

প্রসঙ্গত, কেকে নব্বই দশক থেকে শুরু করে বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার গাওয়া গানগুলো শ্রোতামহলে এখনও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে কলকাতায় এই শিল্পীর জীবনের শেষ গানের স্মৃতি হয়ে রইলো।

সূত্র - হিন্দুস্তান টাইমস

Post a Comment

أحدث أقدم